গল্প নয় সত্যি-০৫ঃ আজ আমার গল্প নয় সত্যি পর্বে আপনাদের পরিচয় করিয়ে
দিব জীবনযুদ্ধে একজন সফল নায়কের সাথে যার নাম মোঃ বাবুর আলী। বর্তমানে তিনি পেশায়
একজন চায়ের দোকানী। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী খ্যাত মুজিবনগর এ যারা
এসেছেন তাদের অনেকেরই হয়তো চোখ পড়েছে তার দোকানের দিকে। কারণ তার দোকান পেরিয়েই
যেতে হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সূর্যোদয় যেখানে হয়েছিল সেই আম্রকাননে। আজ তার দোকানে
গিয়ে সরেজমিনে তার খোজখবর নেয় সমাজসেবার টীম মুজিবনগর। তার সাথে কথা বলে জানা যায় মাত্র এগার বছর বয়সে একটি
দুর্ঘটনায় তিনি তার পায়ে মারাত্নক জখমের শিকার হন এবং স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার
ক্ষমতা হারান। মূলত, তখন থেকেই শুরু হয় তার জীবনযুদ্ধ।
ভূমিহীন বাবুর আলী শত সমস্যার মাঝেও স্বপ্ন দেখত নিজে কিছু
করার এবং পরিবার ও সমাজে অবদান রাখার। কিন্তু স্বপ্ন জয়ের সে পথ মোটেও সহজ ছিল না।
সময়ের আবর্তে হয় তার নিজ পরিবার এবং আজ তিনি দুই সন্তানের গর্বিত জনক।
পরিবার-পরিজন নিয়ে বেচে থাকার তাগিদে মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে যাওয়ার মূল রাস্তার
পাশেই তিনি একটি ছোট্ট চায়ের দোকান দে্ন। কিন্তু স্বল্প পুজিতে ব্যবসা চালানো তার
জন্য কঠিন হয়ে যায়। নানান কিছু ভেবে মাথায় আসে ঋণের কথা, কিন্তু
তা তো সুদে ভরা, চিন্তা হয় কীভাবে দিবে সে প্রতি সপ্তাহে
কিস্তি? মনে যখন দুশ্চিন্তার ঘনঘটা তখন সে তারই এক
প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন সমাজসেবার দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন
কার্যক্রমের আওতায় সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের কথা। এ সেবার সকল বিষয় বুঝে-শুনে তিনি
একটি স্কীম গ্রহন করেন এবং তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। রাস্তার মোড়ে যাত্রী ছাউনের
পাশে বাবুর আলীর রং চা আজ সবার প্রিয়। তাই, আমরাও ভুল করি
নাই তার দোকানের চায়ের কাপে চুমুক দিতে। এভাবেই লাখো বাবুর আলীর সামাজিক সুরক্ষায়
পাশে আছি আমরা তথা সমাজসেবা অধিদফতর। ধন্যবাদ সবাইকে।
No comments:
Post a Comment