Monday, November 25, 2019

সফল উদ্যোক্তাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ

পল্লী পাতাঃ "বঙ্গবন্ধুর সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ঘোঁচায় দৈন্য আনে সুদিন" এই মূলমন্ত্রকে উপজীব্য করে সারা দেশব্যাপী সমাজসেবা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে মেহেরপুর জেলাতেও অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এ কার্যক্রমের মাধ্যমে অসংখ্য নারী-পুরুষের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় সুদমুক্ত আর্থ-সামাজিক স্কীম গ্রহনে করে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী।মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের পুরন্দরপুর প্রকল্প গ্রামের সদস্যদের গল্পটাও ঠিক এমনই। আজ তাদের মাঝে ২৭৫০০০/- টাকা পুনঃবিনিয়োগ করা হয় এবং অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য উদ্যোক্তাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। 

Sunday, November 24, 2019

দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রমঃ স্বপ্ন পূরণে সুবর্ণ সেবা

সুবর্ণ সেবাঃ দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আত্ন-কর্মসংস্থান এবং পুনর্বাসনে এক অনন্য উদ্যোগ সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম যাকে টিম মুজিবনগর নাম দিয়েছে সুবর্ণ সেবা। আজ এই সেবার একটি স্কীম তুলে দেয়া হল সুবর্ণ নাগরিক (দৃষ্টি প্রতিবন্ধী) নাজমুলের হাতে। বাবার মৃত্যের পর মাকে নিয়ে চলছে নাজমুলের জীবন সংগ্রাম। বাড়ির পাশেই তার ছোট্ট চা-বিস্কিটের দোকান। এই দোকানই তার শত স্বপ্নের সিড়ি যার উপর ভর করে সে এগিয়ে যেতে চাই। তাই তো পরিকল্পনা করেছে দোকানে কিছু মুদি সামগ্রী তোলার জন্য যাতে তার ব্যবসার পরিসর বাড়ে আর সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। ছোট্ট দোকানি তাই তো সে চাই না বড় কোন ঋনের বোঝা মাথায় নিতে।এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে সে আমাদের অফিসে আসে এবং তার প্রয়োজ়নের কথা আমাকে জানাই। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জরিপ কার্য সম্পন্ন করে এবং প্রয়োজ়নীয় প্রক্রিয়া মেনে আজ তার হাতে তুলে দেয়া হয় দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম (সুবর্ণ সেবা) এর ১০০০০/- ক্ষুদ্র ব্যবসার আর্থ-সামাজিক স্কীম। এভাবেই স্বপ্ন পূরনের সিড়ি হয়ে সুবর্ণ সেবা নিয়ে শত মুখে হাসি ফোটাতে চাই টিম মুজিবনগর।

Sunday, October 27, 2019

1098 এর প্রচারণায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সমাবেশ

শিশুর সহায়তায় ফোন ১০৯৮ এর নিয়মিত প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ মুজিবনগর উপজেলার কেদারগন্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বাল্যবিবাহ রোধসহ শিশুর প্রতি যে কোন ধরণের নিপীড়নমূলক আচরণ প্রতিরোধে কীভাবে একটি ফোন কল কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে পারে তা সকলের মাঝে তুলে ধরা হয়। এসময় সকলের হাতে শোভা পায় ১০৯৮ পর স্টীকার আর কণ্ঠে ধ্বনিত হতে থাকে ১০৯৮। অংশগ্রহণকারী শিশুরা নিজেদের অনেক বেশি আত্নবিশ্বাসী মনে করেছে এমন একটি হেল্প লাইন পেয়ে। উপস্থিত সবাই আরো অবাক হয়েছে এটা জেনে যে এখানে কল করলে কোন টাকা খরচ হয় না। অনুষ্ঠান শেষে তারা দৃপ্তকণ্ঠে শপথ নেয় শিশুর প্রতি যে কোন ধরণের অন্যায়-অবিচার-অত্যাচার রুখে দিতে। আসুন শিশুর সহায়তায় ১০৯৮ কে তুলে ধরি সকলের মাঝে। ধন্যবাদ

Monday, October 21, 2019

সুবর্ণ সেবা- প্রতিবন্ধিতা জয়ের নায়ক কাজ়ী রফিকুল ইসলাম

গল্প নয় সত্যিঃ দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে কাজী রফিকুল ইসলামকে বরণ করে নিতে হয় প্রতিবন্ধিতার নির্মম গ্লানি।হঠাৎ ফিকে হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন। চিন্তা আর ভাবনায় শুধু কী নিজে আর নিজের করুন দশা? না, সবকিছু ছাপিয়ে পরিবার-পরিজন। কীভাবে চলবে জীবন সংসার? এ ভাবনাতেই যেন সর্বদা আচ্ছন্ন হয়ে থাকা। তাই, জীবনের প্রয়োজনে প্রতিবন্ধিতাকে জয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তিনি। মোটামুটি সুস্থ হয়ে শুরু করন ছোট্ট মুদি ব্যবসা। চলাফেরার জন্য বেছে নিতে হয় হাতে ভরা করা স্ক্র্যাচার। এভাবেই চলতে থাকে ছোট্ট ব্যবসা ঘিরে বড় স্বপ্ন দেখা। কিন্তু পুঁজি তো স্বল্প! আর কিছু টাকা হলে আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যে এগিয়ে নেয়া যেত স্বপ্নের ব্যবসাটাকে।এই ছোট্ট ব্যবসায় আবার ছোট ঋণের বড় সুদের বোঝা- সেটাও তো কম ভাবনার নয়! এভাবেই চলতে থাকে দিনগুলো চিন্তার দোলাচালে। এরই এক পর্যায়ে তিনি আমাদের দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের সেবা সম্পর্কে অবহিত হন। এবং আমাদের এর সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের আর্থ-সামাজিক স্কীম গ্রহন করে্ন। আমাদের এ সেবা তার কাছে তেমনটিই মনে হয়েছে তিনি যেমনটি চাচ্ছিলেন।তাইতো, আজ় তিনি তার স্বপ্নের দোকানটাকে সাজাতে পেরেছেন মনের মত করে। এখন তিনি সমাজের কাছে প্রতিবন্ধিতা জয়ের নায়ক। স্যালুট কাজী রফিকুল ইসলাম।

Sunday, October 20, 2019

Focusing 1098 at Community Level

The 1098 is a helpline directed by the Department of Social Services, Bangladesh.  To protect children from all forms of physical, mental, and sexual harassment this particular platform works 24/7. However, to reach the guardians and children at the community level, Upazila Social Services Office, Mujibnagar arranged an awareness building campaign in association with the Good Neighbor,  Bangladesh. In this campaign, we tried our best to make the participants aware about the rights and privileges if the children those who are the future of our country. And as a representative of the Department of the Social Services, I represented the essence and importance of 1098 in taking quick actions to prevent any types of abuse to the children. And we noted that this special helpline is totally toll-free. We hope it would bring a tremendous response at the community level in advertising 1098 for the betterment of the children.
  

Thursday, September 26, 2019

1098-শিশুর সুরক্ষায় গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচি

শিশুর সুরক্ষা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় আজ মুজিবনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আলোচনা অনুষ্ঠান এবং গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। Australian Aid এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং Good Neighbors Bangladesh এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের একজন আলোচক হিসেবে আমার সুযোগ হয় শিশুদের সুরক্ষায় এবং সহায়তায় সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যক্রম তুলে ধরতে। ইতোমধ্যেই, মুজিবনগরের বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং কমিউনিটি পর্যায়ে শিশুর সহায়তায় আমাদের অনন্য প্রয়াস শিশুর সহায়তায়-১০৯৮ কে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। এখন মুজিবনগর শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছে ১০৯৮ একটি সুপরিচিত হেল্পলাইন। আজ আবারো সুযোগ হয় শিশুর সহায়তায় আমাদের ১০৯৮ কীভাবে কাজ় করছে তা সকলের মাঝে তুলে ধরতে। উপস্থিত কিশোরীরা উচ্ছ্বসিত হয়েছে তাদের কন্ঠে ১০৯৮ কে ধ্বনিত করার মধ্য দিয়ে। তারা শপথ করেছে তারাই রুখবে বাল্যবিবাহ ১০৯৮ এ কল করে। শিশুর সহায়তায়- ১০৯৮ এর একজন সামান্য ফেরিওয়ালা হিসেবে এটাই বড় প্রাপ্তি। তবে, আমাদের এই প্লাটফর্মকে আরো কার্যকরিভাবে সবার মাঝে তুলে ধরতে আরো কাজ় করতে হবে। গত কয়েকমাসের প্রচেষ্টায় ১০৯৮ কে নিয়ে মাথায় অনেক পরিকল্পনা কাজ করেছে যদি কখনো সুযোগ পায় তা কাজে লাগাব ইনশাল্লাহ। আসুন সবাই এগিয়ে আসি/ ১০৯৮ কে শিশুর সহায়তায় সবার মাঝে তুলে ধরি। ধন্যবাদ সবাইকে

Tuesday, September 24, 2019

ডলার মল্লিক Disable নয় বরং Differently Able

গল্প নয় সত্যিঃ ইংরেজি 'Disable' শব্দটি ব্যবহৃত হয় বাংলা 'প্রতিবন্ধী' শব্দটিকে বোঝানোর জন্য। কিন্তু মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ভবরপাড়া গ্রামের ডলার মল্লিক প্রমাণ করেছেন সে Disable নয় বরং  #Differently Able# যার অর্থ ভিন্ন ভাবে সক্ষম। শারীরিক প্রতিবন্ধিতার সুবর্ন নাগরিক পরিচয়পত্র প্রাপ্ত ডলার মল্লিক নজির স্থাপন করেছেন দারিদ্র্য জয়ের এক অনুপ্রেরণা হয়ে। হস্তচালিত ট্রাই সাইকেল এ যার চলাফেরা সে নিয়েছেন পরিবারের বাব-মা আর স্ত্রী-সন্তানের দায়িত্ব। এ যেন এক অনন্য সাফল্য সমাজসেবা অধিদফতরের দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের। স্থানীয় ভবরপাড়া গ্রামে স্বল্প পরিসরে মুদির দোকান ডলার মল্লিকের যেখানেই অহর্নিশ বুনেন দারিদ্র্য জয়ের গল্প গাথা। আর তার  স্বপ্নকে সত্যি করতে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পাশে দাড়িয়েছে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর। আজ তার হাতে আর্থ-সামাজিক স্কীমের আওতায় ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ২০০০০/- টাকা বিনিয়োগ করা হয়। আমাদের চারপাশে ডলার মল্লিকের মত এমন অনেক #Differently Able# সুবর্ন নাগরিক আছেন যাদের জীবনের গল্প হতে পারে অন্যের জন্য জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার মূলমন্ত্র। তাই, আসুন আমরা তুলে ধরি এসকল #Differently Able ব্যক্তিদের জীবনের গল্প। ধন্যবাদ


Monday, September 23, 2019

পল্লী মাতৃকেন্দ্রের সদস্যা-সম্পাদিকাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন

পল্লী পাতা- পল্লী অঞ্চলের নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার মূল স্রোতধারায় সংযুক্ত করতে এবং শক্তিশালী গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে ১৯৭৫ সাল থেকে সমাসজেবা অধিদফতর পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। পল্লী এলাকার লক্ষ্যভুক্ত দরিদ্র নারীদের সংগঠিত করে দারিদ্র্য জয়ের মধ্য দিয়ে নিজস্ব পুঁজি গঠনই এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার ৩১৮টি উপজেলায় এ কর্মসূচি চালু রয়েছে। দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলাতেও এ কার্যক্রম অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে।
এছাড়া সম্প্রতি মুজিবনগর উপজেলায় পল্লী মাতৃকেন্দ্রের সম্প্রসারিত কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। এরই আওতায় সদ্য গঠিত ১০ টি পল্লী মাতৃকেন্দ্রের ১০ জন সম্পাদিকা এবং ৫ জন সদস্যাদের নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মুজিবনগর এ আয়োজ়ন করা হয় ০২ দিনব্যাপি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন। এই প্রশিক্ষনে অংশগ্রহনকারীরা পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভ করেন। এছাড়া, প্রশিক্ষন মডিউলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশুর অধিকার ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের সঞ্চালনায় এই প্রশিক্ষন কার্যক্রমে রিসোর্স পার্সন হিসেবে অংশগ্রহন করেন উপপরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, মুজিবনগর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মুজিবনগর, মেহেরপুর, সহকারি পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মেহেরপুর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রমুখ। প্রশিক্ষন শেষে অংশগ্রহনকারীরা একটি সফল এবং কার্যকরি পল্লী মাতৃকেন্দ্র গঠনের মাধ্যমে দারিদ্র্য জয়ের দৃপ্ত শপথ গ্রহন করেন।
প্রশিক্ষনের শেষ দিনে প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে

Sunday, September 22, 2019

মুজিবনগরে যাত্রা শুরু মুক্তা পানির

আমরাই করব মুক্তা পানির প্রচার এই প্রত্যয় থেকেই আজ শুরু হলো মুজিবনগর উপজেলায় মুক্তা পানির ব্যবহার। দেশের সুবর্ণ নাগরিকদের তৈরি মুক্তা পানির ব্যবহার নিশ্চিত করার যে স্বপ্ন দেখেছিলাম আজ তার বাস্তব রূপ পেল ভাবতেই ভালো লাগছে।জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরহাদ হোসেনে মহোদয়ের সাথে মতবিনিময় সভায় মুক্তা পানি পরিবেশন করা হয়। সহস্রাধিক লোকের এ অনুষ্ঠানে সকলের হাতে শোভা পায় মুক্তা পানির সুদৃশ্য বোতল। এক্ষেত্রে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি জনাব মোঃ উসমান গনী, উপজেলা নির্বাহী  অফিসার,  মুজিবনগর মহোদয়কে অন্য পানির পরিবর্তে মুক্তা পানির ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য। এ মাসের উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভাতে নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের অনুমতিক্রমে মুক্তা পানির উপর একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলাম যা ইতোমধ্যেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজ সেই ক্ষুদ্র প্রয়াসের সফল বাস্তবায়ন দেখে অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করছি। আসুন আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের অতি কষ্টের মুক্তা পানি ছড়িয়ে দিই সকলের মাঝে আর অবদান রাখি তাদের কল্যাণে। ধন্যবাদ সবাইকে   
                   

Thursday, September 5, 2019

চকলেট বিক্রেতা থেকে সফল উদ্যোক্তা

পল্লী পাতাঃ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর। আর এই ঐতিহাসিক মুজিবনগরের যে আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নিয়েছিল সেই আম্রকাননের প্রবেশ দ্বারেই দারিদ্র্য জয়ের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন মোঃ মৃদুল হোসেন। ভাবছেন সে তো অনেকেই করে এ আবার নতুন কী? না, মৃদুলের জীবন সংগ্রামের এ বাস্তব গল্পটি একটু ভিন্ন ধরনের। দরিদ্র ঘরে বেড়ে ওটা মৃদুলের দুঃখ জয়ের সংগ্রাম শুরু হয় মুজিবনগর আম্রকাননে  ফেরি করে চকলেট বিক্রির মধ্য দিয়ে। স্বল্প পুঁজির অল্প লাভে কোনমতে চলতে থাকে তার জীবন। এরপর করেছেন আরো না কতো কিছু। ঝালমুড়ির দোকান থেকে টান ভ্যানে খেলনার দোকান সবই তো মানিয়েছে মৃদুলের হাতে। কখনও বা বসিয়েছেন ছোট্ট চায়ের দোকান। এভাবেই একটু একটু করে এগিয়ে চলার পথটাকে আরো মসৃন করে দিতে এগিয়ে আসে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর। ২০১৭ সালে তার হাতে তুলে দেয়া হয় ক্ষুদ্রব্যবসায় আর্থ-সামাজিক স্কীম। মৃদুলের মানসিক বল বেড়ে যায়। দ্বিগুন আত্নবিশ্বাসী হয়ে শুরু করেন স্বপ্ন জয়ের সংগ্রাম।  মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকেই আজ তার সাতটি দোকান যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে আরো সাতজনের।  ধৈর্য, মেধা আর পরিশ্রমে মৃদুলের এ সফলতা আজ অনেক যুবকের অনুপ্রেরণা। আজ তার এ সাফল্যগাথার উপর কেস স্টাডি করেছে টীম মুজিবনগর।  ক্ষুদ্র লেখনীতে হয়তো এর বেশি বলা সম্ভব নয় তবে গর্বে বুকটা ভরে গেছে যখন মৃদুল কৃতজ্ঞচিত্তে জানিয়েছেন তার এ সাফল্যের নেপথ্যে শক্তি জুগিয়েছে পল্লী সমাজসেবার আর্থ-সামাজিক  স্কীম। একই সাথে তিনি এটিও জানিয়েছেন ঋণের পরিমান অন্তত ৫০০০০/- হলে তাদের জন্য ভালো হতো। 

চকলেট বিক্রেতা থেকে সফল উদ্যোক্তা

পল্লী পাতাঃ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর। আর এই ঐতিহাসিক মুজিবনগরের যে আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নিয়েছিল সেই আম্রকাননের প্রবেশ দ্বারেই দারিদ্র্য জয়ের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন মোঃ মৃদুল হোসেন। ভাবছেন সে তো অনেকেই করে এ আবার নতুন কী? না, মৃদুলের জীবন সংগ্রামের এ বাস্তব গল্পটি একটু ভিন্ন ধরনের। দরিদ্র ঘরে বেড়ে ওটা মৃদুলের দুঃখ জয়ের সংগ্রাম শুরু হয় মুজিবনগর আম্রকাননে  ফেরি করে চকলেট বিক্রির মধ্য দিয়ে। স্বল্প পুঁজির অল্প লাভে কোনমতে চলতে থাকে তার জীবন। এরপর করেছেন আরো না কতো কিছু। ঝালমুড়ির দোকান থেকে টান ভ্যানে খেলনার দোকান সবই তো মানিয়েছে মৃদুলের হাতে। কখনও বা বসিয়েছেন ছোট্ট চায়ের দোকান। এভাবেই একটু একটু করে এগিয়ে চলার পথটাকে আরো মসৃন করে দিতে এগিয়ে আসে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর। ২০১৭ সালে তার হাতে তুলে দেয়া হয় ক্ষুদ্রব্যবসায় আর্থ-সামাজিক স্কীম। মৃদুলের মানসিক বল বেড়ে যায়। দ্বিগুন আত্নবিশ্বাসী হয়ে শুরু করেন স্বপ্ন জয়ের সংগ্রাম।  মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকেই আজ তার সাতটি দোকান যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে আরো সাতজনের।  ধৈর্য, মেধা আর পরিশ্রমে মৃদুলের এ সফলতা আজ অনেক যুবকের অনুপ্রেরণা। আজ তার এ সাফল্যগাথার উপর কেস স্টাডি করেছে টীম মুজিবনগর।  ক্ষুদ্র লেখনীতে হয়তো এর বেশি বলা সম্ভব নয় তবে গর্বে বুকটা ভরে গেছে যখন মৃদুল কৃতজ্ঞচিত্তে জানিয়েছেন তার এ সাফল্যের নেপথ্যে শক্তি জুগিয়েছে পল্লী সমাজসেবার আর্থ-সামাজিক  স্কীম। একই সাথে তিনি এটিও জানিয়েছেন ঋণের পরিমান অন্তত ৫০০০০/- হলে তাদের জন্য ভালো হতো। 

Monday, September 2, 2019

ভাগ্য বদলে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের চার লক্ষ দশ হাজার টাকার আর্থ-সামাজিক স্কীম বিতরন

পল্লী পাতাঃ 'বঙ্গবন্ধুুর ক্ষুদ্রঋণ ঘোঁচায় দৈন্য আনে সুদিন' এই মূলমন্ত্র কে উপজীব্য করে ১৯৭৪ সালে থেকে শুরু হওয়া পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম দেশের আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে আজ সর্বজন সমাদৃত। দেশের অন্যান্য উপজেলার মতই মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের খানপর গ্রামে  গত বছর সুদমুক্তের মূল বিনিয়োগ করা হয়। চোখে-মুখে অনেক উচ্ছ্বাস আর মন ভরা প্রত্যয় নিয়ে আর্থ-সামাজিক স্কীম গ্রহন করেন এই প্রকল্প গ্রামের সম্মানিত সদস্যরা। পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালার আলোকে সময় মতো বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায় হওয়ায় তাদের মাঝে আজ পুনঃবিনিয়োগের লক্ষ্যে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এবং সদস্যদের মাঝে আর্থ-সামাজিকে স্কীমের আওতায় ৪,১্‌০,০০০/- পুনঃবিনিয়োগ করা হয়।   উঠান বৈঠকে তারা তাদের সফলতার গল্প গুলো তুলে ধরেন। আমাদের আর্থ-সামাজিক স্কীম কীভাবে তাদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করেছে আর কীভাবে তার আজ পরিবারের অন্যতম সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী সে কথাগুলোও উঠে এসেছে আজকের এই উঠান বৈঠকে। এটাই বুঝি পল্লী সমাজসেবার সৌন্দর্য আর এখানের আমাদের সফলতা।



Wednesday, August 28, 2019

1098 এর প্রচারণায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর

দাপ্তরিক প্রতিবেদনঃ শিশুর সহায়তায় টোল ফ্রি ২৪/৭ হেল্প লাইন আছে সমাজসেবা অধিদফতর এর। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ যে কোন সময় কল করতে পারেন এই হেল্প লাইনে এবং শিশুর সহায়তায় চাইতে পারেন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা। এই হেল্প লাইনেরই প্রচারণায় নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর। এর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সম্মেলন। যার উদ্দেশ্য হলো ১০৯৮ এর বার্তা সকলের মাঝে পৌছে দেয়া। আর এই প্রচারণামূলক সভায় সার্বিক সহযোগিতা করছে "গুড নেইবার্স" নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। এমনই এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় অদ্য ২৭/০৮/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে যেখানে প্রায় এক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ উসমান গনী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মুজিবনগর, মেহেরপুর। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সকলের হাতে পৌছে দেয়া হয় ১০৯৮ এর লিফলেট, স্টিকার এবং কোর্ট পিন। ম্যানেজার, গুড নেইবার্স এর সাথে আলাপ করা হয় যেন তাদের অফিসিয়াল বিভিন্ন প্রকাশনায় ১০৯৮ কে সন্নিবেশিত ককরা হয়। উনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন এবং আমাকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। আসুন আমার আপনার সকলের জায়গা থেকে শিশুর সহায়তায় ১০৯৮ কে তুলে ধরি সকলের মাঝে। ধন্যবাদ
             

Thursday, August 8, 2019

সুবর্ণ সেবায় স্বচ্ছল বাবুর আলী

গল্প নয় সত্যি-০৫ঃ আজ আমার গল্প নয় সত্যি পর্বে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব জীবনযুদ্ধে একজন সফল নায়কের সাথে যার নাম মোঃ বাবুর আলী। বর্তমানে তিনি পেশায় একজন চায়ের দোকানী। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী খ্যাত মুজিবনগর এ যারা এসেছেন তাদের অনেকেরই হয়তো চোখ পড়েছে তার দোকানের দিকে। কারণ তার দোকান পেরিয়েই যেতে হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সূর্যোদয় যেখানে হয়েছিল সেই আম্রকাননে। আজ তার দোকানে গিয়ে সরেজমিনে তার খোজখবর নেয় সমাজসেবার টীম মুজিবনগর। তার সাথে কথা বলে  জানা যায় মাত্র এগার বছর বয়সে একটি দুর্ঘটনায় তিনি তার পায়ে মারাত্নক জখমের শিকার হন এবং স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার ক্ষমতা হারান। মূলত, তখন থেকেই শুরু হয় তার জীবনযুদ্ধ। ভূমিহীন বাবুর আলী শত সমস্যার মাঝেও স্বপ্ন দেখত নিজে কিছু করার এবং পরিবার ও সমাজে অবদান রাখার। কিন্তু স্বপ্ন জয়ের সে পথ মোটেও সহজ ছিল না। সময়ের আবর্তে হয় তার নিজ পরিবার এবং আজ তিনি দুই সন্তানের গর্বিত জনক। পরিবার-পরিজন নিয়ে বেচে থাকার তাগিদে মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে যাওয়ার মূল রাস্তার পাশেই তিনি একটি ছোট্ট চায়ের দোকান দে্ন। কিন্তু স্বল্প পুজিতে ব্যবসা চালানো তার জন্য কঠিন হয়ে যায়। নানান কিছু ভেবে মাথায় আসে ঋণের কথা, কিন্তু তা তো সুদে ভরা, চিন্তা হয় কীভাবে দিবে সে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি? মনে যখন দুশ্চিন্তার ঘনঘটা তখন সে তারই এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন সমাজসেবার দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের কথা। এ সেবার সকল বিষয় বুঝে-শুনে তিনি একটি স্কীম গ্রহন করেন এবং তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। রাস্তার মোড়ে যাত্রী ছাউনের পাশে বাবুর আলীর রং চা আজ সবার প্রিয়। তাই, আমরাও ভুল করি নাই তার দোকানের চায়ের কাপে চুমুক দিতে। এভাবেই লাখো বাবুর আলীর সামাজিক সুরক্ষায় পাশে আছি আমরা তথা সমাজসেবা অধিদফতর। ধন্যবাদ সবাইকে।


Thursday, August 1, 2019

যুবদের আত্নকর্মসংস্থানে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম

গল্প নয় সত্যি ০৪ঃ 'বঙ্গবন্ধুর সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ঘোচায় দৈন্য আনে সুদিন' এই প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ১৯৭৪ সালে দেশের ১৯ টি থানায় শুরু হয় পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম। স্বনির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে আজ এই কার্যক্রম সারা দেশব্যাপী সর্বজন বিদিত। দেশের অন্যান্য উপজেলার মতই স্বাধীনতার পূণ্যভূমি খ্যাত মুজিবনগর উপজেলাতেও অত্যন্ত সফলতার সহিত পরিচালিত হচ্ছে এই কার্যক্রম। এ উপজেলার পিছিয়ে পড়া, অসহায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার মূল স্রোতধারায় সংযুক্ত করতে সহস্র সেবাগ্রহীতার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই মহৎ কার্যক্রম। অনেকের মধ্য থেকে আজ তুলে ধরতে চায় আত্নপ্রত্যয়ী যুবক রওনাকের গল্প। একসমের হতাশগ্রস্ত যুবক রওনাক আজ আত্নবিশ্বাসী যুবক। আর তার আত্নপ্রত্যয়ের ভিত তৈরি হয় পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের একজন সদস্য হওয়ার মাধ্যমে। গত বছর রওনাক ছাগল পালন স্কীম নিয়ে উন্নত জাতের ছাগল কিনে পারিবারিক পর্যায়ে খামার গড়ে তোলে। এবছর সে তার খামারকে আরো বড় করার পরিকল্পনায় পুনরায় পুনঃবিনিয়োগের স্কীম গ্রহন করেছে। আশেপাশের অনেক যুবকের কাছে আজ  তাই রওনাক আদর্শ।

রওনাকের ছাগলের খামারে আজ কিছুক্ষন

Monday, July 22, 2019

সবার প্রিয় সিরাজুলের বেডিং স্টোর

গল্প নয় সতি-০৩ঃ সিরাজুল ইসলাম একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী (সুবর্ণ নাগরিক)। জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেড়ে ওঠা সিরাজ বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়ী। মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে গড়ে তুলেছেন তার বেডিং এর ব্যবসা যেখান কর্মসংস্থান হয়েছে আরো দু'জনের। লেপ, তোষক, বালিশ এবং প্রভৃতি সেলাইয়ের কাজ চলে এই দোকানে। ক্রেতা সাধারনের মাঝেও সিরাজের দোকানের তৈরি পণ্যের চাহিদাও বেশ। সবমিলিয়ে ভালোই চলছে তার ব্যবসা ও পরিবার। তবে এই গল্পের শুরুটা এতো ভালো ছিল না তার। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে আর পাঁচ জন স্বাভাবিক মানুষের মতো ছিল না তার জীবন। জীবন জীবিকার জটিল সমীকরণ তার জন্য ছিল আরো কঠিন। এর মাঝে হয়ে গেছে নিজ পরিবার আর সন্তান-সন্ততি। সবার মুখে দু'বেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে তাকে যে কিছু একটা করতেই হবে। সেই প্রত্যয় থেকেই তার মাথায় আসে একটি সেলাই মেশিন কিনতে পারলে এক জায়গাতে বসেই সে কোনরকমে হয়তো কিছু উপার্জন করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে জীবনধারন করতে পারবে। তবে সেলাই মেশিন আর আনুষঙ্গিক উপকরণ ক্রয়ের মতো সামর্থ্য তো তার নেই। বিভিন্ন এনজিওর দোয়ারে ঘুরে হতাশ হন তাদের চড়া সুদের হার আর কিস্তির ধরণে। আশার প্রদীপ যখন নিভু নিভু করছে তখন সে জানতে পারে সমাজসেবার দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় সহজ শর্তে সুদমুক্ত  ঋণের কথা। তার আগ্রহ আর আশার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে উপজেলা সমাজসেবা কার্যলয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর। সমাজসেবার এই সুবর্ণ সেবা নিয়ে আজ সে সমাজের চোখে এক অনুকরণীয় উদাহরণ। 
সিরাজের (মাঝে) দোকানে আজ কার্যক্রম বোর্ড লাগানো হয়

Wednesday, July 17, 2019

গ্রামীণ অর্থনীতির নিরব কারিগর ফাতেমারা

দারিদ্র্য জয়ের স্বপ্ন নিয়েঃ আমরা জানি, আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে নিরবেই নিরলস পরিশ্রম করে যান এদেশের হাজারো পল্লী গাঁয়ের লাখো নারীরা। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও তাদের অমূল্য অবদান অনস্বীকার্য। অনেকটা নিজ উদ্যোগ আর প্রচেষ্টাতেই তারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিকে। এমনই একজন ফাতেমা বেগম, দুই সন্তান আর স্বামীকে নিয়ে যার টানাটানির সংসার। এর মাঝে ছেলে আবার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (সুবর্ণ নাগরিক)। বসতবাড়ির জায়গা ছাড়া কোন কৃষি জমি না থাকাই তার স্বামীকে সারা বছর অন্যের ক্ষেতেই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। ফাতেম ভাবতে থাকে এভাবে আর কতো সে নিজেও তো কিছু করে পরিবারের আর্থিক অনটন কাটাতে ভূমিকা রাখতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই সে গাভী পালনের সিদ্ধান্তে নেয় যার ফলে পরিবারের আর্থিক অনটনও ঘোচাবে আবার পুষ্টির চাহিদাও মেটানো যাবে। বাড়ির আঙ্গিনাতেই সে একটি ছোট্ট গোয়াল করেছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় গাভী ক্রয়ের পুজি নিয়ে। স্বামীর আয় থেকে অনেক কষ্টে একটু একটু করে যা জমানো হয়েছে তাতে তো আর গাভী হবে না। তার এই ভাবনার কথা ঐ প্রকল্প গ্রামের সভাপতির মাধ্যমে জানতে পারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমাজকর্মী। তাঁর থেকে সব কিছু জেনে-শুনে যথাযথ নিয়ম মেনে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় গাভী পালন স্কীম দিয়ে ফাতেমার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর। এমনি করেই হাজারো ফাতেমার স্বপ্ন পূরণ হোক সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে।
গাভী পালন স্কীম তুলে দেয়া হচ্ছে ফাতেমার হাতে

Tuesday, July 16, 2019

গরু-ছাগলের পারিবারিক খামারে সফল গোলাম রহমান

গল্প নয় সত্যি-০২ঃ মোঃ গোলাম রহমান, একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী (সুবর্ণ নাগরিক)। তবে একসময় সে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষই ছিলেন। আজ থেকে কয়েক বছর আগের কথা-প্রতিদিনের মতো সেদিনও সে বের হয়েছিল জীবিকার সন্ধানে। কিন্তু সেদিন তার জন্য অভিশাপ হয়ে আসে। হঠাৎ দুর্ঘটনায় সব কিছু এলোমেলো করে দেয় দিনমজুর গোলামের জীবনকে। পরিবার সংসার আর নিজের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় বিষাদ হয়ে যায় জীবনটা। ঘুরে দাড়ানোর অদম্য ইচ্ছে নিয়ে খুজতে থাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার উপায়-পারিবারিক আর আর্থিক জীবনে অবদান রাখার পথ। বিভিন্ন সময়ে নানান কিছু ভাবলেও শারীরিক সক্ষমতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আশা-হতাশার দোলাচালে দিন কাটতে থাকে। জীবনের অনুভূতিগুলো বিবর্ণ হয়ে যায় জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধি ছেলে আর শত দুঃখ নিরবে সহে যাওয়া সহধর্মিণীর মুখে তাকিয়ে। শত সমস্যার মাঝেও  সে সম্ভাবনা খুজে পায় পারিবারিক গরু-ছাগলের খামারের মাঝে। সব ঠিক আছে-কিন্তু এত টাকা! তো তার নেই। যদি সে কিছু টাকা পেত তাহলে হয়তো আবারো পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে দাড়াতে পারতো। তার এই ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এগিয়ে আসে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর। তাকে দেওয়া হয় দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় গবাদি পশু পালন স্কীম। পরিশ্রমী আর দৃঢ়চেতা গোলাম রহমান আজ সফল তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে।আর এমনি করেই গোলাম রহমানের মত দেশের হাজারো মানুষের ঘুরে দাড়ানোর গল্প রচনা করে চলেছে সমাজসেবা অধিদফতর।
পুনঃবিনিয়োগের স্কীম তুলে দেওয়া হচ্ছে গোলাম রহমানের হাতে

Monday, July 15, 2019

প্রতিবন্ধিতাকে জয় করেছেন ফ্রান্সিস দফাদার

গল্প নয় সত্যিঃ ফ্রান্সিস দফাদার একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী (সুবর্ণ নাগরিক)। জন্মগত শারীরিক অস্বাভাবিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠা ফ্রান্সিসেরও সমাজের আর পাঁচ জন স্বাভাবিক মানুষের মতোই স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে তার অভাবী পরিবারের হাল ধরা আর কারো কাছে বোঝা না হওয়া। নিজে কিছু করে তার দুঃখিনী মায়ের মুখে হাসি ফুটানোর অদম্য ইচ্ছে থাকলেও বাধা হয় আর্থিক অনটন। কিন্তু সে দমে যাওয়ার পাত্র নয়। নিজের শারীরিক সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্য এমন কিছু করার জন্য সে দিন-রাত ভাবতে থাকে। যদি সে কিছু টাকা পেত তাহলে বাড়ির পাশেই একটি চায়ের দোকান করতো। এরই মধ্যে তার সাথে যোগাযোগ হয় সংশ্লিষ্ট ইউনয়নের সমাজকর্মীর সাথে। তার নিজের পায়ে দাড়ানোর অদম্য ইচ্ছের কথা শুনে তাকে আমাদের দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের বিস্তারিত বলেন আমাদের ইউনিয়ন সমাজকর্মী। সে এই সেবার বিষয়ে জেনে খুবই খুশি হয় এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার উপর গতবছর একটি স্কীম গ্রহন করে। এবং এই টাকা দিয়ে শুরু করে তার স্বপ্ন জয়ের যাত্রা। বাড়ির পাশেই দোকান করে এবং শুরু হয় তার চায়ের ব্যবসা। এখান থেকেই তার যা আয় হয় তা দিয়ে ভালোই চলছে মাকে নিয়ে তার ছোট্ট পরিবার। মায়ের দায়িত্ব নিতে পেরে সে নিজেও খুশি আর ছেলে কারো বোঝা নয় এই ভেবে মাও খুশি। এভাবেই হাজারো মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলেছি আমরা সারা দেশ ব্যাপী। 

Thursday, July 11, 2019

ভাতার টাকা ভাতাভোগীর বাড়িতে পৌছে দেয়া হলো।

ডিজিটাল সমাজসেবার রূপকার সমাজসেবা অধিদফতরের সুযোগ্য মহাপরিচালক জনাব গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির স্যার এর নির্দেশনায় প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ছাদেকা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে  ভাতার টাকা বুঝিয়ে দেয় টীম মুজিবনগর। এভাবেই তাৎক্ষণিক সেবা দিয়ে এদেশের সকল সুবর্ণ নাগরিকদের সুরক্ষিত করতে বদ্ধপরিকর আমরা সমাজসেবা পরিবার।

Tuesday, July 9, 2019

সমাজসেবার সেবা নিতে কোন প্রকার টাকার প্রয়োজন হয় না

মোঃ আত্তাব আলি। একজন সুবর্ণ নাগরিক। বাড়ী ভাঙ্গার সময় সে তার ভাতা পরিশোধ বহি হারিয়ে ফেলে। সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে শেয়ার করে। জনৈক সদস্য নানান জটিলতার কথা বলে তার কাছে টাকা চাই। কিন্তু সে তাকে টাকা না দিয়ে বুকে ভরসা রেখে চলে আসে আমার অফিসে। আমি পুরো বিষয়টা শুনে তাকে এখুনি ডুপ্লিকেট বহি প্রদানের আশ্বাস দিই। এবং আমাদের সকল সেবা সম্পর্কে আমাদের অবস্থান তাকে বুঝিয়ে বলাতে তার ভুল ভাঙ্গে।
*সমাজসেবার সেবা নিতে কোন প্রকার টাকার প্রয়োজন হয় না*
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
ভালো লাগলো নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে
আবার শঙ্কাও জাগে যে আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অবৈধ সুবিধা নিচ্ছে না তো?

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমাজকর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
 — 

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ


সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত সকল ধরনের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে গতিশীলতা আনয়নের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে উঠান বৈঠক। আর এই নিয়মিত আয়োজনের আজকের দিনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মুজিবনগর, মেহেরপুর। উঠান বৈঠক
শেষে উপকারভোগীদের মাঝে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন স্কীমে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা উপপরিচালক স্যারকে সার্বিক দিকনির্দেশনার জন্য।