পল্লী পাতাঃ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর। আর এই ঐতিহাসিক মুজিবনগরের যে আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নিয়েছিল সেই আম্রকাননের প্রবেশ দ্বারেই দারিদ্র্য জয়ের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন মোঃ মৃদুল হোসেন। ভাবছেন সে তো অনেকেই করে এ আবার নতুন কী? না, মৃদুলের জীবন সংগ্রামের এ বাস্তব গল্পটি একটু ভিন্ন ধরনের। দরিদ্র ঘরে বেড়ে ওটা মৃদুলের দুঃখ জয়ের সংগ্রাম শুরু হয় মুজিবনগর আম্রকাননে ফেরি করে চকলেট বিক্রির মধ্য দিয়ে। স্বল্প পুঁজির অল্প লাভে কোনমতে চলতে থাকে তার জীবন। এরপর করেছেন আরো না কতো কিছু। ঝালমুড়ির দোকান থেকে টান ভ্যানে খেলনার দোকান সবই তো মানিয়েছে মৃদুলের হাতে। কখনও বা বসিয়েছেন ছোট্ট চায়ের দোকান। এভাবেই একটু একটু করে এগিয়ে চলার পথটাকে আরো মসৃন করে দিতে এগিয়ে আসে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর। ২০১৭ সালে তার হাতে তুলে দেয়া হয় ক্ষুদ্রব্যবসায় আর্থ-সামাজিক স্কীম। মৃদুলের মানসিক বল বেড়ে যায়। দ্বিগুন আত্নবিশ্বাসী হয়ে শুরু করেন স্বপ্ন জয়ের সংগ্রাম। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকেই আজ তার সাতটি দোকান যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে আরো সাতজনের। ধৈর্য, মেধা আর পরিশ্রমে মৃদুলের এ সফলতা আজ অনেক যুবকের অনুপ্রেরণা। আজ তার এ সাফল্যগাথার উপর কেস স্টাডি করেছে টীম মুজিবনগর। ক্ষুদ্র লেখনীতে হয়তো এর বেশি বলা সম্ভব নয় তবে গর্বে বুকটা ভরে গেছে যখন মৃদুল কৃতজ্ঞচিত্তে জানিয়েছেন তার এ সাফল্যের নেপথ্যে শক্তি জুগিয়েছে পল্লী সমাজসেবার আর্থ-সামাজিক স্কীম। একই সাথে তিনি এটিও জানিয়েছেন ঋণের পরিমান অন্তত ৫০০০০/- হলে তাদের জন্য ভালো হতো।
No comments:
Post a Comment